সিলেকশন গ্রেড বিষয়ে সাতটি মন্ত্রণালয়ের আট ক্যাডারের কর্মকর্তার জন্য জারি
SEVEN OF THE MINISTRIES ISSUED FOR THE EIGHT CADRE SELECTION GRADE
সিলেকশন গ্রেড বিষয়ে সাতটি মন্ত্রণালয়ের আট ক্যাডারের কর্মকর্তার জন্য জারি করা প্রজ্ঞাপনগুলো বিশ্লেষণে দেখা যায়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত ৩ আগস্ট প্রশাসন ক্যাডারের ৩০৬ জন কর্মকর্তাকে সিলেকশন গ্রেড দিয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ১৮৯ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ৯ আগস্ট পুলিশ ক্যাডারের ১৮৭ জন কর্মকর্তাকে সিলেকশন গ্রেড দিয়েছে। তাঁদের বেশির ভাগই দেশের বিভিন্ন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। তথ্য মন্ত্রণালয় গত ৬ আগস্ট সিলেকশন গ্রেড দিয়েছে বিসিএস তথ্য ক্যাডারের ৪১ জন কর্মকর্তাকে। সর্বশেষ শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত বুধবার সিলেকশন গ্রেড দিয়েছে ১ হাজার ৮৯৭ জনকে। এ ছাড়া অন্যান্য ক্যাডারে সিলেকশন গ্রেড দেওয়া হলেও সংখ্যায় তা ৪ থেকে ২৫-এর বেশি নয়।
অর্থমন্ত্রী অনমনীয় নন: সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বাতিলের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসাসহ কয়েকটি দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে প্রকৌশলী-কৃষিবিদ-চিকিৎসক (প্রকৃচি) ও বিসিএস সমন্বয় কমিটি।
বৈঠকে প্রকৃচির আহ্বায়ক ও কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের সভাপতি আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘আমলারা আপনাকে ভুল বোঝাচ্ছেন। সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বাতিলের সিদ্ধান্ত সরকারের জন্য ভালো কোনো উদ্যোগ নয়। এতে সরকারি চাকরিজীবীদের মনে হতাশা-ধোঁয়াশা ও কুয়াশা সৃষ্টি করবে।’ তিনি বলেন, নতুন কাঠামো অনুযায়ী সবাই বেতন বেশি পেলেও খুশি হবেন না কেউই।
অর্থমন্ত্রী স্বীকার করেন যে বৈষম্য থাকলেও সবকিছু তিনি সমাধান করতে পারবেন না। তিনি বলেন, ‘একটা ক্যাডারে আছে ২২ হাজার সদস্য। কিন্তু প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় গ্রেডে পদ আছে মাত্র সাতটি। এটা অন্যায্য।’ আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সবকিছু চূড়ান্ত হবে জানিয়ে মুহিত বলেন, রাজনৈতিক মন্ত্রিসভা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা নিয়ে আরও আলোচনা-পর্যালোচনা হবে।
Post: infolink09