সিম ঠিক রেখে অপারেটর বদলালে যে সুবিধা পাবেন
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে যদি মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) বা নম্বর অপরিবর্তিত রেখে যেকোনো অপারেটরে যাওয়ার পদ্ধতিটি চালু হয়, তবে গ্রাহকেরা কিছু সুবিধা পাবেন। সবচেয়ে বড় সুবিধা হবে অপারেটর নির্ধারণে তাঁদের ‘স্বাধীনতা’।ফোন নম্বর অপরিবর্তিত রেখে মুঠোফোন অপারেটর পরিবর্তন করার সুবিধাকে বলা হয় এমএনপি। একজন গ্রাহক নম্বর অপরিবর্তিত রেখেই নিজেদের ইচ্ছেমতো এক অপারেটর থেকে আরেক অপারেটরে যেতে পারেন এ ব্যবস্থায়।
এমএনপির সুবিধা প্রসঙ্গে গ্রামীণফোনের এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, অনেক গ্রাহক একই অপারেটরের সিম দীর্ঘদিন ব্যবহার করে বিরক্ত হয়ে যেতে পারেন। অনেক সময় রাগ করে বা কৌতূহল বশেও এক অপারেটর থেকে আরেক অপারেটরে যেতে ইচ্ছা পোষণ করেন। কিন্তু তাঁর চাওয়া থাকে, অপারেটর পরিবর্তন করলেও সিমের নম্বরটি যেন একই থাকে এবং নতুন অপারেটরের সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়। এতে তাঁকে নম্বর পরিবর্তন করতে হলো না, কিন্তু সুবিধামতো নেটওয়ার্কে চলে যাওয়া সম্ভব হলো।
গ্রামীণফোনের ওই কর্মকর্তা বলেন, এই পদ্ধতিটিকে সহজভাবে বলা যায়—নম্বর ঠিক রেখে নেটওয়ার্ক বদল। এটা গ্রাহকদের স্বাধীনতা। এর বাইরে আর তেমন কোনো সুবিধা নেই। অসুবিধা সম্পর্কে তিনি বলেন, এমএনপি করতে অর্থ ও সময় খরচ হবে। গ্রাহক নতুন অপারেটরে গিয়ে আবার যখন বিরক্ত হবেন তখন আবার পরিবর্তন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে যা সময় ও ব্যয়সাপেক্ষ। ৪৫ দিন যন্ত্রণা ‘উপভোগ’ করতে হবে।