Again time scale selection for the government employment
Toneysoft: সরকারি চাকরিজীবীরা আবারও পাবেন টাইম স্কেল-সিলেকশন গ্রেড
চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল-সিলেকশন গ্রেড এবং পেনশনভোগীদের বৈশাখী বোনাস দেওয়া উদ্যোগ…
অষ্টম বেতন কাঠামোয় সিলেকশন গ্রেড বা টাইম স্কেল বাতিলের পর যারা আগের এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের এটি দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
এক্ষেত্রে সপ্তম বেতন কাঠামোর বিধান অনুযায়ী যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর এ দুই সুবিধার মেয়াদ ৩০ জুনের মধ্যে পূর্ণ হওয়ার কথা ছিল, তাদের জন্য এটি কার্যকর হবে।
এদিকে পেনশনভোগীদের পহেলা বৈশাখের উৎসব ভাতা দেয়ারও প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যা আগে দেয়া হয়নি। এ মুহূর্তে পেনশনভোগীর সংখ্যা প্রায় চার লাখ।
সম্প্রতি সংশ্লিষ্টদের সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল এবং বৈশাখী ভাতা দেয়া সংক্রান্ত দুটি প্রস্তাব তৈরি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন শাখা। এর মধ্যে উৎসব ভাতা সংক্রান্ত প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আর টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের প্রস্তাবের ওপর প্রয়োজনীয় পর্যালোচনা করে সুপারিশের নির্দেশ দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্টদের।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগের বিধান অনুযায়ী, গত ৩০ জুন পর্যন্ত যাদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের বিষয়টি পূর্ণ হয়েছিল, তাদের এ সুবিধা দিতে অর্থমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদফতর, পরিদফতর, সংস্থা ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের বিপুলসংখ্যক চাকরিজীবী। তাদের অনেকে মন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করেও বিষয়টি অবহিত করেন। এসব আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী একটি নোট লিখে সংশ্লিষ্ট ডেস্কে পাঠিয়ে দেন। ওই নোটে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে মীমাংসা করুন।’
অর্থমন্ত্রীর কাছে পাঠানো প্রস্তাবে বলা হয়, অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেল ঘোষণার সঙ্গে পুরনো পদ্ধতি টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড এবং ইনক্রিমেন্ট (বেতন বর্ধিত) সুবিধা বাতিল করা হয়। এ নির্দেশ ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়। পরবর্তীকালে আরেকটি নির্দেশ দিয়ে ইনক্রিমেন্ট সুবিধার মেয়াদ ১৫ ডিসেম্বর থেকে বাড়িয়ে পরবর্তী বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল রাখা হয়। প্রস্তাবে আরও বলা হয়, ইনক্রিমেন্ট সুবিধার মতো একই সময় পর্যন্ত চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড দেয়ার মেয়াদ কার্যকর করা যেতে পারে।
ভুক্তভোগীদের মতে, অর্থবছরের মাঝামাঝি তারিখে ইনক্রিমেন্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত কার্যকর করার ফলে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা ছিল কয়েক লাখ চাকরিজীবীর। পরে বিষয়টি প্রশাসনসহ সরকারের সংশ্লিষ্টরা উপলব্ধি করেন। পরবর্তীকালে তা গত অর্থবছরের (২০১৫-১৬) শেষদিন অর্থাৎ ৩০ জুন পর্যন্ত এটি কার্যকর রাখা হয়। পাশাপাশি চলতি অর্থবছরের (২০১৬-১৭) শুরু থেকে তা বাতিল করা হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্তরা লাভবান হয়েছেন।
অন্যদিকে ২০১৫ সালের ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে যাদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে, তারাই কেবল এ সুবিধা পেয়েছেন। আর ওই তারিখের পর যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর এ সুবিধার মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে, তারা সবাই বঞ্চিত হয়েছেন। সরকারের এমন সিদ্ধান্তে একই সময়ে চাকরিতে যোগ দেয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বেতন বৈষম্য দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে চাপা ক্ষোভ ও হতাশা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি ২০১২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ১১তম গ্রেডে ১৬ হাজার টাকা বেতন স্কেলে যোগদান করেছি। প্রতি বছর ইনক্রিমেন্ট পেয়ে বর্তমান স্কেল হয়েছে ১৯ হাজার ৫শ’ টাকা। আর একই পদে আমার একজন সহকর্মী ২০১১ সালের ১৩ নভেম্বর যোগদান করেন। তার স্কেল এখন ২৪ হাজার টাকার বেশি। কারণ সে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড সুবিধা পেয়ে এক ধাপ ওপরের গ্রেডে চলে গেছে। যোগদানের মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে আমার সহকর্মীর তুলনায় বেতনসহ অন্যান্য সুবিধা মিলে প্রায় ৭ হাজার টাকা কম পাচ্ছি। সরকারের সিদ্ধান্তের কারণে বেতনে এ বৈষম্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানতে চাইলে অর্থ সচিব (সিনিয়র) মাহবুব আহমেদ ১৪ নভেম্বর এই ব্যাপারে বলেন, সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড সুবিধা দেয়ার বিষয়ে বাস্তবায়ন শাখা থেকে প্রস্তাব এসেছে। তবে এখনও কোনো কিছু বলা যাচ্ছে না। কারণ বিষয়টি নিয়ে বলার মতো সে পর্যায়ে আসেনি। তবে এ নিয়ে কাজ চলছে।
টাইম স্কেল: ১৯৮১ সালে ক্যাডার সার্ভিসে টাইম স্কেল চালু হয়। এরপর ১৯৮৩ সালে সেটি নন-ক্যাডার পদেও কার্যকর করা হয়। কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী কোনো কারণে পদোন্নতি না পেলে চাকরির ৮ বছর পর ১টি, ১২ বছর পর ১টি এবং ১৫ বছর পর ১টি করে মোট ৩টি টাইম স্কেল পেয়ে থাকেন। প্রতিটি টাইম স্কেল পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট চাকরিজীবীর বেতন স্কেল এক ধাপ ওপরে উন্নীত হয়। এটিই টাইম স্কেল নামে পরিচিত।
এতে সংশ্লিষ্ট চাকরিজীবী পদোন্নতি না পেলেও আর্থিক সুবিধা পেয়ে থাকেন। বিশেষ করে সরকারি চাকরির ৬৫ শতাংশই ব্লকপোস্ট রয়েছে। যাদের পদোন্নতি পাওয়ার সুযোগ নেই। তারাই মূলত এর সুবিধাভোগী।
সিলেকশন গ্রেড: কোনো কারণে একই স্কেলে দীর্ঘদিন চাকরির পর অনেক কর্মকর্তা পদোন্নতি পান না। এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কোনো কর্মকর্তার চাকরির মেয়াদ ১০ বছর পূর্ণ হলে, তাকে একটি সিলেকশন গ্রেড দেয়া হয়। আর অন্য কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে কারও বেতন স্কেলের সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছানোর পরবর্তী বছরে একটি সিলেকশন গ্রেড দেয়া হয়। এ পদ্ধতিকেই সিলেকশন গ্রেড বলা হয়। সত্তর দশকে এটি চালু হয়।
Paragraph1
Thank you for Visit Toneysoftblog
© ♥&♥ TONEYSOFT 2016 ® |