প্রাথমিকে পুল শিক্ষকদের নিয়োগে হাইকোর্টের নির্দেশ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে উত্তীর্ণ পুল শিক্ষকদের নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে \
হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষকের আনা আলাদা ৭২টি রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষে গতকাল বুধবার বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
গতকাল আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, শেখ মোহাম্মদ মুরশেদ, আইনজীবী মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্যাহ মিয়া ও মো. খায়রুল আলম। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করীম।
আইনজীবী মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্যাহ মিয়া সাংবাদিকদের জানান, ২০১১ সালের আগস্ট মাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। এ বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে ১১ লাখ প্রার্থী আবেদন করেন। লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষা শেষে ২০১২ সালের ১২ আগস্ট ২৭ হাজার ৭২০ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়। এর মধ্যে ১২ হাজার ৭০১ জনকে জনকে নিয়োগ দেয় সরকার। বাকিদের পুল শিক্ষক ৭ দিন থেকে ৬ মাসের জন্য কোটার মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়।(পুল শিক্ষকরা প্রতিমাসে ৬ হাজার টাকা সম্মানী পান, তাদের কোনো ছুটি নেই, এবং তাদের নিয়োগ সাময়িক)।
এর মধ্যে ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর নতুন করে সহকারী শিক্ষক পদে আবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। ওই বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন পুল শিক্ষকরা। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একই সালের ১৯ অক্টোবর হাইকোর্ট বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করে রুল জারি করেন। গতকাল বুধবার এ রুল নিষ্পত্তি করে রায় দেন।
আইনজীবী মুরশেদ আরো জানান, প্রায় ৭২টি রিট ছিল। এর মধ্যে আবেদনকারী দুই থেকে আড়াই হাজার হতে পারে। হাইকোর্ট এসব আবেদনকারী পুল শিক্ষকদের নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছে। আর এদের নিয়োগের আগে নতুন করে কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বা নিয়োগ না দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এদিকে জাতীয় সংসদে : সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দারের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে সব উপজেলায় বেসরকারি স্কুল বা কলেজ সরকারিকরণ করা হবে সেসব স্কুল ও কলেজের শিক্ষকরা কোথাও বদলি হতে পারবেন না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছি, যেসব উপজেলায় একটিও সরকারি স্কুল বা কলেজ নেই শুধু সেই উপজেলায় আমরা স্কুল বা কলেজ সরকারিকরণ করবো। এই স্কুল-কলেজ যখন সরকারিকরণ করবো তখন সেখানকার শিক্ষকরা কোথাও বদলি হতে পারবেন না। তাদের স্ব স্ব স্কুল বা কলেজে থাকতে হবে।