In April, the reduction of inequality
এপ্রিলের মধ্যেই বেতন বৈষম্য নিরসন
সরকার ঘোষিত নতুন পে-স্কেলে বিভিন্ন পেশাজীবীর বেতন নিয়ে যে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে তা আগামী এপ্রিলের মধ্যে নিরসন করা হবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ৭২ সচিবের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত সচিব সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম। আলোচনায় অংশ নেন ২০ সচিব।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, নতুন পে-স্কেল নিয়ে সৃষ্ট সংকট সমাধানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ক্যাডারদের কাছ থেকে প্রস্তাবনা আনবেন সচিবরা। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় প্রস্তাবনা যাচাই-বাছাই করে পাঠাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। এরপর জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয় বৈঠক করে পর্যায়ক্রমে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেবে। এভাবেই টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড তুলে দেওয়ার পর পদোন্নতি নিয়ে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তার সমাধান করা হবে। এ ছাড়া নতুন পদ সৃষ্টি না করে পুরনো পদ সমন্বয়ের মাধ্যমে সৃষ্ট সংকট দূর করার পাশাপাশি পদোন্নতির বিষয়টি স্পষ্ট করা হবে। পাশাপাশি ক্যাডার-ননক্যাডারদের এন্ট্রি পদের বেতন নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা সমাধানেরও উদ্যোগ নেওয়া হয় বলে জানান সভায় উপস্থিত একাধিক সচিব।
এদিকে সচিবরা দাবি করেন, তাদের অধীনে কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে (অন্য ক্যাডারের) গ্রেড-১ মর্যাদা (সচিবের মর্যাদা) দেওয়া হলেও মন্ত্রণালয়ের সচিবরা যেন তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন জানান, তার নেতৃত্বে এ সংক্রান্ত একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটি বিষয়টি সম্পর্কে সুস্পষ্ট প্রতিবেদন দেবে। সে আলোকেই একটি পরিপত্র জারি করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম বলেন, প্রশাসনযন্ত্রকে আরও গতিশীল করতে সব ক্ষেত্রে মনিটরিং জোরদার করার পাশাপাশি আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় এবং মাঠপর্যায়ে কাজের তদারকি বাড়ানোর জন্য সচিবদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সব কাজে নিয়ম-নীতি অনুসরণ করতে এবং সচিবালয় নির্দেশিকা মেনে কাজ করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সচিবদের আরও আন্তরিক হতে বলা হয়েছে।
এদিকে বেতন-বৈষম্যের প্রতিবাদে আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে তিন সদস্যের কোর কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ। এরই মধ্যে প্রকৃচিসহ ২৬ ক্যাডারের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে এ কমিটি। বৈঠকের পর নিজ-নিজ মন্ত্রণালয়ে তাদের প্রস্তাবনা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।