Teacher recruitment commission শিক্ষক নিয়োগ কমিশনের মাধ্যমে
বেসরকারি বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ হবে কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষার মাধ্যমে। এ জন্য সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) আদলে একটি কমিশন গঠন করা হবে। এর নাম হবে বেসরকারি শিক্ষক নির্বাচন কমিশন (এনটিএসসি)।এই কমিশন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শূন্য পদের চাহিদার ভিত্তিতে বাছাই (প্রিলিমিনারি), লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে মেধাক্রম তৈরি করবে। এই মেধা তালিকা হবে উপজেলা, জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে। এই মেধা তালিকা থেকে শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।
গতকাল বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, এটা কার্যকর হতে মাস খানেক সময় লাগতে পারে। তবে এর আগ পর্যন্ত নিয়োগ বন্ধ থাকবে না।
নতুন এই পদ্ধতির ফলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি একচ্ছত্র ক্ষমতা হারাবে। বর্তমান পদ্ধতিতে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের অধীনে নিবন্ধন পরীক্ষা হলেও নিয়োগের ক্ষেত্রে পরিচালনা কমিটিই একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী। পরিচালনা কমিটি তাদের প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের বিজ্ঞাপন দিলে নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস করা শিক্ষার্থীরা আবেদন করেন। পরে পরিচালনা কমিটির অধীনে স্থানীয়ভাবে নিয়োগ কমিটি গঠন করে আবেদনকারী প্রার্থীদের পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ করা হয়। এতে নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম, দুর্নীতি, আর্থিক লেনদেন ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ প্রায়ই উঠছে।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রীও নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগের উল্লেখ করে বলেন, এই অভিযোগ দূর করতে ও যোগ্যদের শিক্ষকতায় নিয়োগ করতেই নতুন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কমিশন হলে বিদ্যমান বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) বিলুপ্ত হবে।
বর্তমানে সারা দেশে প্রায় ৩০ হাজার বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, বর্তমানে নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদেরও নিয়োগের সুযোগ রাখা হচ্ছে। তবে এর মেয়াদ তিন বছর পর্যন্ত থাকতে পারে।